নিহতরা হলেন, কটিয়াদীর বনগ্রাম ইউনিয়নের জমশাইট গ্রামের মৃত মীর হোসেনের ছেলে মো. আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভিন (৪৫) ও তাদের আট বছর বয়সী ছেলে লিয়ন। নিহত মো. আসাদ মিয়া জমশাইট বাজারের ব্যবসায়ী। মোফাজ্জল (২৫) ও তোফাজ্জল (১৩) নামে তাদের আরও দুটি ছেলে ছিল। ওরা বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়।
পুলিশের ধারণা, জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের কারণে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসাদের আপন ভাই দীন ইসলাম, ভাগ্নে আল-আমিন, বোন নাজমা ও জুমেলা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আসাদ ও তার স্ত্রী পারভিন এবং ছেলে লিয়ন প্রতিদিনের মতো ঘুমাতে যায়। সকালে আসাদের মেজো ছেলে তোফাজ্জল নানার বাড়ি থেকে ফিরে বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা ও ছোট ভাইকে পায়নি। আত্মীয়স্বজনের কাছে জিজ্ঞেস করলেও তারা কোনও তথ্য দিতে পারেনি। পরে সে পুলিশের কাছে গেলে পুলিশে নিখোঁজদের সন্ধানে মাঠে নামে। রাত ৯টার দিকে বাড়ির পেছনে একটি নির্জন স্থানের গর্ত থেকে একটি হাত দেখা যাওয়ার পর এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে থাকা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত আসাদের ভাই, ভাগ্নে, মা ও বোনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সঙ্গে তার ভাইয়ের জমিজমাসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও ঝগড়া হয়েছে।