এরআগে, বিক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিয়াম হাসান এসব তথ্য দিয়েছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ও অন্যরা জানান, গ্রেফতার শিক্ষার্থী স্থানীয় এক মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া করে। মাদ্রাসার ছাত্রী হলেও তার চলাফেরা খুবই আধুনিক। তার বিরুদ্ধে গত ১ নভেম্বর ফেসবুক আইডিতে আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
পরে পোস্টটি ভাইরাল হলে ওইদিন রাতে স্থানীয়রা তার বাবার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
পরে পুলিশ রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বোনের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিয়াম হাসান কালিয়াকৈর থেকে তাকে বগুড়ায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয় জুয়েল রানা নামে এক ব্যক্তি ২ নভেম্বর রাতে তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারায় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে এবং ৩১ ধারায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত ছাত্রীকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। বিকালে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বয়স কম হওয়ায় আদালত তাকে রাজশাহীর সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।