নারায়ণগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা

নারায়ণগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ’র অবৈধ উচ্ছেদ

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন মার্কেট ও একটি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারসহ অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্দর খেয়াঘাট ও সোনাকান্দা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী-বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারী পরিচালক নূর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শুরুতে বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন গঙ্গাকুল মৌজায় কুতুববাগ দরবার শরীফের পীর জাকির শাহ’র নির্মাণাধীন যুবরাজ সুপার মার্কেটের শতাধিক দোকানঘর উচ্ছেদ করতে গেলে বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযানে বাধা প্রদান করে দখলদাররা। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডায় হট্টগোল সৃষ্টি হয়। ভেকুর পথরোধ করে হুমকিও দেয় দখলদাররা। পরে দখলদাররা উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দেখালে ভ্রাম্যমাণ আদলত সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত করে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এরপর সোনাকান্দা মৌজায় উচ্ছেদ করতে গেলে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হয়। নদীর জায়গা দখল করায় একটি নির্মাণাধীন মার্কেট, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী একটি ড্রেজার ও বেশ কয়েকটি টং দোকানসহ প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

তবে উচ্ছেদকৃত জায়গার স্থাপনা নির্মাণকারীদের অভিযোগ, পূর্বে কোনও প্রকার নোটিশ না দিয়েই তাদের ক্রয়কৃত জায়গার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা দাবি করেন, গত দশ বছর পূর্বে আমিন জুটমিলের আমমোক্তার নামার সূত্রে মালিক হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে এই জমি তারা বৈধভাবে ক্রয় করে খাজনা দিয়ে আসছেন।

উচ্ছেদে বাধা প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, উচ্চ আদালতে রিটের আদেশের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে জবাব দিয়ে রিট নিষ্পত্তি করে পুনরায় পীর জাকির শাহ’র নির্মাণাধীন অবৈধ যুবরাজ সুপার মার্কেটে অভিযান চালানো হবে। বিনা নোটিশে অভিযানের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে লিখিত নোটিশ দেওয়াসহ বেশ কয়েকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগের দিন মাইকিং করায় অর্ধ শতাধিক অবৈধ টিনশেড দোকানঘর নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছে দখলদাররা। সিএস রেকর্ডের ভিত্তিতে নদীর সীমানা পুনঃজরিপ করেই দখলকৃত জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে এবং তা চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।