সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ভোট প্রত্যাখ্যান, পুনর্নির্বাচন দাবি বিএনপি প্রার্থীর

বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

নেতাকর্মীদের মারধর, এজেন্টদের বের করে দেওয়া, নির্বাচনি এলাকায় ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচন দাবি করেছেন বিএনপি প্রার্থী মো. সেলিম রেজা। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে এ দাবি করেন বিএনপি প্রার্থী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বেশিরভাগ কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্র যাওয়ার সময় নৌকা সমর্থকরা তাদের এজেন্ট ফরম কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি, নেতাকর্মীদের মারধরও করে। ধানের শীষের কর্মীরা ভোট দিতে গেলে ভোট শুরু হওয়ার পরপরই তাদের কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। সাধারণ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারেনি। এটি একটি প্রহসনের নির্বাচন। এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি করেন সেলিম রেজা।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, কাজীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাজীপুরের মাটি আমার দাদা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও বাবা মোহাম্মদ নাসিম তথা শেখ হাসিনার নৌকার ঘাঁটি। বরাবরই বিএনপির এখানে কোনও অস্তিত্ব নেই। বরাবরের মতো এবারের নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা ভোট কারচুপির কথা বলছে। ইভিএমে ভোট হয়েছে। কারচুপির দোষ দেওয়াটা অবান্তর মাত্র।’

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপির মৃত্যু হলে আসনটিতে উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আজ ১২ নভেম্বর সেই ভোটগ্রহণের পর এখন চলছে গণনা। এ আসনে গত ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিমের মনোনয়ন বাতিল হলে তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। পরের মেয়াদে তার বাবা মোহাম্মদ নাসিম আবার প্রার্থী হলে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেননি। এবার তার বাবার মৃত্যুর পর আসনটিতে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সেলিম রেজা। আসনটিতে আর কেউ নির্বাচনে অংশ নেননি।