পুলিশ ও স্বজনরা জানান, হাফেজ সিরাজুল ইসলাম বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শালিখা পশ্চিমপাড়ার বাচ্চু বেপারীর ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের কানুচগাড়ি এলাকায় ফাতেমা ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ম্যানেজার পদে কর্মরত। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে তিনি কর্মস্থল থেকে বের হন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে আটকের পর একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়। শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নামিয়ে তাকে একটি মোটরসাইকেলে তোলা হয়। এরপর তাকে নন্দীগ্রাম উপজেলার পূর্ব কুচাইগাড়ি শ্মশানঘাটে নিয়ে হাত-পা বেঁধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার চিৎকারে পথচারীরা ছুটে আসলে ওই দুই ব্যক্তি তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ সিরাজুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আবদুর রশিদ সরকার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক অসংলগ্ন তথ্য দিচ্ছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণের ঘটনা সাজানো। তিনি কাউকে ফাঁসাতে বা অন্য কোনও কারণে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই এ অপহরণের প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে মামলা হয়নি।