খুলনায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রাঙ্গণে আসামি কাওসারখুলনায় প্রেম নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভ্যানচালককে শ্বাসরোধ ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় আরেক ভ্যানচালককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আমির আলি মীর ওরফে কাওসার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত আসামি কাওসারকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি এক হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রায়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভ্যান চুরির অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে রূপসা উপজেলার ইমরান সরদারকে শ্বাসরোধ ও জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন ইমরান বিকাল ৫টার দিকে ভ্যান নিয়ে রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলার বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর ফিরে আসেননি। পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে রূপসা উপজেলার নন্দনপুর এলাকার আজিম উদ্দিনের সুপারি বাগান থেকে ইমরানের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা ইউসুফ সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে রূপসা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর রহমান ২০১৯ সালের ২ জুলাই আদালতে একজনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এই মামলায় শুনানি শেষে সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি এনামুল হক ও এপিপি এম ইলিয়াস খান এবং আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত হাসিনা আক্তার মুন্নী মামলা পরিচালনা করেন।

পিপি এনামুল হক বলেন, ‘নিহত ভ্যানচালক ইমরানের শ্যালিকা লতার সঙ্গে ভ্যানচালক কায়সারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে এ প্রেমে বাধা আসলে কাওসার ধারণা করে ইমরানই তার প্রেমে বাধা দিচ্ছে। এ সন্দেহ থেকে কাওসার ঘটনার দিন ইমরানের ভ্যানে উঠে শ্রীফল তলা থেকে জোয়ার বাধ এলাকায় যায়। এরপর গলায় গামছা দিয়ে ইমরানকে শ্বাসরোধ করে। পরে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর কাওসার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে এ বর্ণনা দেয়।’