ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া ফার্মেসি চলবে না: মহাপরিচালক




বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘ফার্মেসি চালাতে হলে ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট অবশ্যই থাকতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট ছাড়াই যেসব ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে তা আইন অনুযায়ী অবৈধ। লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া যেসব ফার্মেসি চালু আছে তা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’



মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে নীলফামারী শহরের বাটার মোড়ে মেসার্স সৈকত ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসি এবং বড় বাজারের করিম ফার্মেসি, জামান ও রাসেদ ফার্মেসিকে মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সব ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপে রূপান্তর করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মডেল ফার্মেসি এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মেডিসিন শপ স্থাপনের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে দেশের ৩৭ হাজার মডেল মেডিসিন শপ এবং পাঁচশ’ মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ তৈরি হয় উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, দেশের চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধ দিয়ে পূরণ করা হয়। বর্তমানে আমাদের উৎপাদিত ওষুধ বর্হিবিশ্বের ১৪৮টি দেশে রফতানি করা হচ্ছে। এতে দেশে বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত থাকবে।

পরে দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা শীর্ষক নকল, ভেজাল, আনরেজিস্টার্ড ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রতিরোধে” মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।

কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপপরিচালক সালাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক তহিদুল ইসলাম, সমিতির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, তোবারক আলী, শফিউল আলম প্রমুখ।