১০ বছরেও শেষ হয়নি দ্রুত নিষ্পত্তি সেলের তালিকার এক নম্বর মামলা

 

feni ----

দ্রুত নিষ্পত্তি মনিটরিং সেলের তালিকায় এক নম্বরে থাকলেও ১০ বছরে বিচার শেষ হয়নি ফেনীতে ৬ কনটেইনার এসিড উদ্ধারের মামলা। ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউসুফ এর আদালত রবিবার (২৯ নভেম্বর ) সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন ।

আদালতের পিপি হাফেজ আহম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, 'সাক্ষীদের হাজির করতে দফায় দফায় সমন দেওয়া হয়েছে। তবে সাক্ষীরা আসছেন না। সাক্ষী না এলে আদালত তারিখ দিয়ে দেন।'

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজেন্দ্র কুমার ভৌমিক জানান, এই মামলায় ২০১৭ সালের ৩০ মে, একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি, ১৩ মে, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি, ৯ মে, ২৬ আগস্ট, ১৪ অক্টোবর, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ও ৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। সাক্ষীরা না আসায় প্রতিটি তারিখে সমন জারি করা হয়। স্বাক্ষীদের তালিকায় রয়েছেন বাদী এসআই কবির আহম্মদ, এসআই আবদুল কাদের, কামরুল আলম, জসিম, জহিরুল, রাসায়নিক পরীক্ষক বিমলেন্দ, রেকর্ডিং অফিসার আমিনুল ইসলাম।

পিপি অফিস সূত্রে জানায়, ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি শহরের ট্রাংক রোড এলাকায় ৬ কনটেইনার এসিডসহ গ্রেফতার হন এনামুল হক। তার বাড়ি সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নে। এই ঘটনায় এসআই কবির আহমদ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি এসআই আবদুল কাদের আদালতে এনামুল হককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ একেএম আরিফুর রহমান ১৫ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় ৭ জনকে সাক্ষ্য রাখা হয়। এর মধ্যে একজন ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন। একের পর এক তারিখ ধার্য্য করা হলেও আর কেউ আদালতে সাক্ষ্য দেননি।