২০০২ সালে ২৮ আগস্ট সোমবার রাত ২টার দিকে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে ভর্তি হন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। দেশব্যাপী সমালোচিত ওই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে ও খোঁজ নিতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা আসেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ঢাকা ফেরার পথে সেদিন কলারোয়া তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খোঁজখবর ও শুভেচ্ছা উপহার দিতে এসেছি’ উল্লেখ করে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, ‘২০০২ সালে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা উনাকে দেখতে এসেছিলেন। তখন বিএনপি এবং এখানকার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হন তিনি। তার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছিল। এখানকার জনগণই তাকে বাঁচিয়েছিলেন। আপনারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে বাঁচিয়েছিলেন। সেজন্য আজকে আমরা আপনাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
দেড় যুগ আগে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মামলা যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকে আমরা খবর পেয়েছি এটা হাইকোর্টে পেন্ডিং আছে এবং হাইকোর্টে আমরা যাওয়ার পরে মামলাটি তুলে যাতে ধর্ষকদের কঠোর বিচার হয় সেই চেষ্টা চালাবো। আর আপনারা জানেন যে, তৎকালীন বিএনপি সরকারের ইন্ধনে এই মামলটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং সেই মামলটি যাতে সঠিক পথে আবার চালু হয় সেই চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদ স্বপন, ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. মোহাম্মাদ হোসেন, সাতক্ষীরা জর্জ কোটের পিপি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।