এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয় ও প্রচারণায় ব্যবহৃত একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার সবুজপাড়া এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস বানানো নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরপর রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় আনারস প্রতীকের প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করা হয়। এই খবরে বড়ধুশিয়া ও ধান্যদৌল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানেও দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এসময় ধান্যদৌল এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে আলহাজ্ব আবু জাহের ও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের জাহাঙ্গীর খান চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গাড়ি ভাঙচুরের তথ্য নিশ্চিত নই, তবে তিন জন আহতের খবর শুনেছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর এ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু তাহেরের ছোট ভাই আলহাজ্ব আবু জাহের।