সরবরাহ বেড়েছে শীতের সবজির, কমেছে দাম




নরসিংদী১নরসিংদীতে পাইকারি বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এতে কয়েকদিন আগেও যে সব সবজির দাম চড়া ছিল, তা এখন সাধারণের হাতের নাগালে।মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে শীতের আগাম শাকসবজির আশাব্যঞ্জক ফলন না হলেও এখন সব ধরনের সবজির উৎপাদন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

কৃষক ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নরসিংদীর ছয় উপজেলায় শীতকালীন আগাম শাকসবজির আবাদ করেও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা। এতে সবজির বাজারগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায় শাকসবজির। অতিবৃষ্টি কাটিয়ে দফায় দফায় চারা তৈরির পর এখন শাকসবজির উৎপাদন বাড়িয়েছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বেড়েছে ফুলকপি, লালশাক, লাউ, মুলা, সিম, ঢেঁড়শ, কুমড়া, বেগুনসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির।

জেলার ৯টি সবজির বাজার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব শাকসবজি। রাজধানী ঢাকার চাহিদার প্রায় ৪০ ভাগ সবজির সরবরাহ হয়ে থাকে নরসিংদী জেলা থেকে।

এদিকে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ায় কমে এসেছে সবজির দাম। বিগত দুই সপ্তাহে সব ধরনের সবজি প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও পাইকারি ক্রেতারা। পুরোদমে সবজির উৎপাদন শুরু হলে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান তারা।

শিবপুর উপজেলার পালপাড়া এলাকার কৃষক হারিছ মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে শীতের আগাম সবজির ফলন না হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন সব ধরনের সবজিই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সবজির উৎপাদন বাড়ায় দামও কমে এসেছে।

নরসিংদী২একই উপজেলার খড়কমারা গ্রামের কৃষক আসাদ ভূঁইয়া ও কামাল খান বলেন, এ বছর বৃষ্টির কারণে শীতের আগাম সবজি উৎপাদন না হওয়ায় সবজি চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন উৎপাদন বাড়ছে তবে দাম যদি বেশি কমে যায় আবারও লোকসান গুনতে হবে।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শোভন কুমার ধর বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সবজির পুরো উৎপাদন শুরু হলে সবজির দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। উৎপাদন কম হলে দাম বেশি পেলেও কৃষকরা লাভবান হতে পারেন না। আশাব্যঞ্জক ফলন পাওয়া গেলে দাম কিছুটা কম হলেও কৃষকরা লাভবান হবেন। চলতি মৌসুমে জেলায় শাকসবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার ৯৮৩ হেক্টর জমি। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।