সার পাচারের অভিযোগে দুই ডিলারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়াবগুড়ায় দুই ট্রাক বোঝাই ৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার পাচারের অভিযোগে দুই সরকারি ডিলারসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এ মামলা করেন।


এরআগে, সিআইডির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১ নভেম্বর রাতে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও র‌্যাব সদস্যরা দুই ট্রাক ভর্তি ১০ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের ৮০০ বস্তা সার জব্দ করে। এ সময় দুই ট্রাকের চার চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদকের মামলার আসামিরা হলেন, মেসার্স শাহীন ট্রেডার্সের মালিক বগুড়া শহরের সেউজগাড়ি এলাকার মরহুম আবু খাদেম খানের ছেলে সাজ্জাদুল হক ও গ্লোবাল লিংকের মালিক শহরের কাটনারপাড়ার মরহুম শিল্পপতি আমজাদ হোসেন তাজমার স্ত্রী তাহেরা হোসেন এবং ট্রাক চালক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম চন্ডীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন (৩০) ও তার সহকারী একই গ্রামের লিটন কুমার (২৫) এবং একই এলাকার পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ নারায়ণপুর গ্রমের চালক ইব্রাহীম হোসেন (৩৪) ও তার সহকারী নাসির আলী (২৩)।

দুদক কর্মকর্তা জানান, মেসার্স শাহীন ট্রেডার্স বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের এবং গ্লোবাল লিংক নিশিন্দারা ন্যাংড়া বাজার এলাকার সরকারি সার ডিলার। নির্ধারিত এলাকায় সার বিক্রির কথা থাকলেও দুই ডিলার পরস্পর যোগসাজসে ভুয়া চালান তৈরি করে কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। গত ১ নভেম্বর বগুড়া সদরের তিনমাথা এলাকার বাফার গুদাম থেকে ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৮০০ বস্তায় থাকা ৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উত্তোলন করা হয়। তারা সারগুলো দুটি ট্রাকে বোঝাই করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পাচার করছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখের নেতৃত্বে র‌্যাব ও পুলিশ শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সার বোঝাই ট্রাক দুটি জব্দ করে। গ্রেফতার করা হয় দুই ট্রাকের দুই চালক ও তাদের দুই সহকারীকে। শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জিডিমূলে ঘটনাটি দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে স্থানান্তর করেন।

দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, দুই ডিলার বাফার গুদাম থেকে সারগুলো উত্তোলন করে নির্ধারিত এলাকায় বিক্রি না করে অধিক লাভের আশায় পাচারের চেষ্টা করছিলেন। তদন্তে এমন সত্যতা পাওয়ায় দুই ব্যবসায়ী ও চার পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপাররা ৩০ নভেম্বর আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

দুই ডিলারকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।