আটক অভিযুক্ত ৪ ধর্ষকের একজন হ্যান্ডকাফসহ পালিয়েছে

রংপুররংপুরের তারাগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে আটক করার পর পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ একজন পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটকের পর এ ঘটনা ঘটে। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন প্রধান আসামি মিঠুনসহ দুজনকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেছেন।

শিক্ষার্থীর স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে উপজেলার শেখেরহাট এলাকার মিঠুন মোবাইল ফোনে পরিচয়সূত্রে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বাসায় আসে। এরপর তাকে বাড়ির পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মিঠুন ও তার চার সহযোগী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মূল হোতা মিঠুনসহ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে বদরগঞ্জের শেখেরহাট এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে নুরুজ্জামান হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায়। অপর তিন আসামি হলো– মিঠুন, বাবা মোজাহার আলী; নাসিম, বাবা জবান আলী; আল আমিন, বাবা আব্দুল মজিদ। তাদের সবার বাড়ি বদরগজ্ঞ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা মোকসেদুল কাজী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ওসি জানান।