কুয়াকাটা পৌর নির্বাচন

প্রার্থীর ভাইয়ের ছেলেকে কুপিয়ে আহত ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ

BT-Newপটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাইয়ের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর রাতে তার বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে মারধর করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কুয়াকাটার ৯নং ওয়ার্ডের হোসেনপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত কোহিনুর বেগম জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ওই এলাকার নুর সাইদের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের অপরিচিত লোকজন আচমকা তার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরের মালামাল-আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তাকে মারধর শেষে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তিনি ডাক-চিৎকার দিলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘কোন নির্বাচন আইলো, আমরা আতঙ্কে আছি। বারেক মোল্লার লোকদের অত্যাচারে মানুষ বাড়িতেও থাকতে পারছে না।’ 

এ বিষয়ে কথা বলতে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক নুর সাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল বারেক মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমি বা আমার কোনও কর্মী এ ঘটনায় জড়িত না।’

বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে কুয়াকাটায় বহিরাগত এসে ভরে গেছে। চার-পাঁচটি হোটেলে জেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার বহিরাগতরা অবস্থান নিয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে আমার জগ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে, রক্তাক্ত জখম করছে, তাদের বাসা-বাড়িতে হামলা করছে, ভাঙচুর করছে। ঘরে থাকা নারীদের উপরও হামলা চালাতে তারা দ্বিধা বোধ করছে না। এসব বিষয় আমি প্রতিমুহূর্তে প্রশাসনকে অবহিত করছি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।