কুকুরের কামড়ে ১২ জন আহত

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সসুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরে ১৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে সাত শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর বাজার ও উপজেলা সদরের বিভিন্ন গ্রামে। ভুক্তভোগীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের কামড় দিয়ে আহত করে কুকুরটি।

আহতদের মধ্যে এক শিশুর কান কামড় দিয়ে ছিড়ে ফেলায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত শিশুদের বয়স সাত থেকে ১২ বছরের মধ্যে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আবু বক্কর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে এই স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

মুক্তিখলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন জানান, ফার্মেসি থেকে ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়ার পর ডাক্তার তার শরীরে পুশ করে দিয়েছে। রবিউল আউয়াল জানান, কুকুর যাদের কামড় দিয়েছে তাদের অনেকেরই এতো দাম দিয়ে ইঞ্জেকশন কেনার সামর্থ্য নেই। ওষুধ সরকারিভাবে বিনামূল্য এ দিতে পারলে সবাই সুচিকিৎসা পেতেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আবু বক্কর জানান, কুকুরের কামড়ে আহতদের রেবিক্স ডিসি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে এ ধরনের কোনও ওষুধ না থাকায় বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে এনে আহতদের প্রথম ডোজ দিয়েছেন। এক ডোজ ইঞ্জেকশন এর দাম ৫০০ টাকা। এক মাসে পাঁচ ডোজ ইঞ্জেকশন দিতে হবে। একজন রোগীর জন্য ২৫০০ টাকার ইঞ্জেকশন লাগবে।