কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্রিয়াশীল বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে শেষ হয়।
এ সময় ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’, ‘ছাত্র সমাজের অ্যাকশান, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘ইউনূস সরকারের সফলতা, ধর্ষকের পৃষ্ঠপোষকতা, ‘বাহ ইউনূস চমৎকার, ধর্ষকের পাহারাদার’সহ নানা স্লোগান দেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ বলেন, ‘মুরাদনগরের ঘটনায় ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে, ফেসবুকে তার ছবি প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই। বর্তমান সরকার গণঅভ্যুত্থানের যে ন্যূনতম আশা তা পূরণে ব্যর্থ। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের মতোই বিচারহীনতার রাজনীতি কায়েম হচ্ছে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’
বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক তারেক আশরাফ বলেন, ‘আমরা যখন ধর্ষণের ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করি তখন দেখা যায় সমাজের শ্রেণিগতভাবে দুর্বল নারীরা বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কুমিল্লার ঘটনা ভিডিও যদি ভাইরাল না হতো ধর্ষক বিচারের আওতায় আসতো না। সমাজে ধর্ষক তৈরি হয় রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়াতলে। এদেশের যে ক্ষমতা কাঠামো সে ক্ষমতা কাঠামোই ধর্ষক তৈরিতে উব্ধুদ্ধ করে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যে চেতনাগত পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই হয়নি।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র গণমঞ্চের যুগ্ম সদস্য সচিব সজল কুমার, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীন ত্রিপুরা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ফুয়াদ রাতুল প্রমুখ।