কাজির দেউরিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা 

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মোশারাফুল হক চৌধুরী পাভেল বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মামলায় ৩৫ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়। আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন– এইচ এম রাশেদ খান (৪০), হারুন অর রশিদ (৪৫), সৈয়দ আবুল বশর (৪০), মো. শাহনেওয়াজ (৪৫), মো. দেলোয়ার হোসেন (৫০), মো. আকতার খান (৫৩), মো. ইমন (৩৫), জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০), মো. সাকিব (২৭), খলিল (৩০), আলী হাসান রাজু (৪৫), এমরান (৩৫), আলী হোসেন (৩৫), আবদুল মোতালেব ওরফে কিং মোতালেব (৩৫), মো. আবদুল জলিল (৪৬), রাব্বি (২০), মঞ্জুর রহমান চৌধুরী (৫৬), মো. ইউসুফ (৪৩), মো. আসিফ (২০), মো. সেলিম (৫২), জাহেদ উল্লাহ রাশেদ (৩৭), মোহাম্মদ আলী মিঠু (৪৫), মো. হুমায়ুন (২৮), শেখ রাসেল (৩৮), শাহ ইমরান সিদ্দীকি জ্যাকসন (৩৬), মো. মিন্টু প্রকাশ মিনু (৩৭), সোহেল (৩০), বাবু (৪০), মো. সেলিম (৩৫), মো. জাহেদ (৩৭), মো. সাজ্জাদ (৩০), মো. তালেব (৪১), মো. সাইফুল (৩৫), মো. শাহাদাত হোসেন নাবিল (২৫), মো. হোসেন (৩৬), আবদুস সোবহান (২৮), রিপন (৪৭), মো. নাসির (৪৫), মো. হোসেন ওরফে মাসুম (৪৭), মো. হাসান (৪৩), মো. মোতালেব (২৪), শামসুল ইসলাম (৪০), যুবরাজ (৩৫), কায়সার (৪০) ও নুর হোসেন (৩৫)। আসামিরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনকে ঘিরে বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে নগরীর কোতয়ালি থানার নূর আহমদ সড়কে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় নগরীর জামালখান ও নন্দনকান এলাকা থেকে আসা কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবালের অনুসারীরা নাসিমন ভবনের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি মূল সড়ক অবরোধ করেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাসিমন ভবনে অবস্থান করেন। সে সময় নাসিমন ভবনের ভেতরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শৈবালের অনুসারী ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়। একপর্যায়ে সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রাত ১২টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নসিমন ভবনের অদূরে রাবেয়া রহমান গলির সামনে মেয়র প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমনের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে পরে কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারী ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যলয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, কোনও ধরনের উসকানি ছাড়াই স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীরা বিএনপি কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।