কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মানহানির মামলার আবেদন করা হয়েছে। জেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. রিয়াজ উদ্দিন এই আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ২নং আমলি আদালতে এই মামলার আবেদন করা হয়। তবে বিচারক অনুপস্থিত থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী পলাশ চন্দ্র সাহা। 

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, ‘আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখে তাদের মানহানি করেছেন। বাদী উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য শোনেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, “চামচা”, “টাকা দিলে বস্তির লোকের অভাব নেই”, “টেন্ডারবাজি করে হাজার হাজার টাকা লুটপাট করা” এবং “পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া”সহ জেলার নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেন। এতে তিনি শুধু তাদের মানহানি করেননি, একটি চলমান রাজনৈতিক সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তিনি স্থানীয় বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ এবং মানহানিকর বক্তব্য রেখে তাদের চরম মানহানি করেন। বিবাদীর এসব বক্তব্যের কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীও নোয়াখালী জেলা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আবদুল কাদের মির্জার এমন একাধিক কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, আমার এবং স্থানীয় সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্য নেতাদের মানহানি হওয়ায় আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে হৃদয়ে আঘাত পেয়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করলাম।’

এদিকে, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার আবেদনের প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ শেষে তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শামসুদ্দিন জেহানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।