অনশন ভাঙলেন খুবির দুই শিক্ষার্থী

শৃঙ্খলা বোর্ডের দেওয়া শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে গত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থী কয়েকদিন ধরে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করছিলেন। জানা গেছে, শিক্ষার্থী দুজন তাদের ভুল অনুধাবন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে পত্র দেওয়ার পর সংকট নিরসনের পথ সুগম হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৮টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান শরবত পান করিয়ে দুই শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙান।

এ সময় উপাচার্য খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা ডেকে দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন এবং সেখানে সর্বোচ্চ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।

অনশন ভাঙানোর আগে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষকরা কখনোই শিক্ষার্থীদের অমঙ্গল চান না। তারা কেবল শিক্ষক নন, শিক্ষার্থীর অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা কোনও ভুল করতে পারে। তবে তারা দুঃখ বা ক্ষমা প্রকাশ করলেই শিক্ষক বা অভিভাবক নমনীয় হন।’ তিনি পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান। তাহলে তারা জীবনে সফল হতে পারবে বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টরা, বিভাগীয় প্রধানরা, শিক্ষক এবং সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত কয়েক দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির অবসানে কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক স্ব-উদ্যোগে ক্যাম্পাসে এসে সংকট নিরসনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি কেসিসির ডেপুটি মেয়র মো. আলী আকবর টিপু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দফতর, শিক্ষক, অ্যালামনাই, সুশীল সমাজের বিবেকবান মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীসহ সবাইকে সংকটকালে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।