সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে তল্লাশি, মিললো ২ কেজি সোনা

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই কেজি সোনাসহ দুই জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে (৩০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে)  তাদের বিমানবন্দরের আগমনী ২ নম্বর টার্মিনালের আউট গেটের পাশের কার পার্কিং এলাকা থেকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, আগমনী ২ নম্বর টার্মিনালের আউট গেটের পাশের কার পার্কিংয়ের পশ্চিম পাশে কাঠ বাদাম গাছের নিচে দুই ব্যক্তির গতিবিধি দেখে সন্দেহজনক মনে হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সদস্যরা। তারা হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের  মো. কামাল পারভেজ (৪১) ও চট্টগ্রামের লোহাগড়ার  মো. ফরিদুল আলম (৫০)। জিজ্ঞাসাবাদে এই  দুই জন সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরবর্তীতে তাদের বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে তল্লাশি করা হয়।

মো. কামাল পারভেজের কাঁধ ব্যাগে আটটি গোল্ডবার পাওয়া যায়। এগুলোর ওজন ৯২৮ গ্রাম, আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া সোনার অলঙ্কার পাওয়া যায় যার ওজন ২৬৮ গ্রাম (যার মধ্যে তিনটি ব্রেসলেট, ৯টি চেইন, একটি লকেট, দুটি  কানের দুল, তিনটি আংটি, দুটি গলার হার, একটি ঝাপটা)। এসব অলঙ্কারের আনুমানিক বাজারমূল্য ১৪ লাখ টাকা।

আরও পাওয়া যায় তিনটি নতুন আইফোন ১২ প্রো (১২৮ জিবি), একটি ব্যবহৃত স্যামস্যাং জে৭ প্রাইম সেট, একটি ব্যবহৃত নকিয়া ফিচার ফোন, ব্রাক ব্যাংকের চেকের পাতা (চার লাখ ৪৪ হাজার টাকা)। তার কাছে উদ্ধারকৃত মালামালের সর্বমোট মূল্য ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।

অন্যদিকে মো. ফরিদুল আলমের কাছে পাওয়া যায় চারটি গোল্ডবার, যার মোট ওজন ৪৬৪ গ্রাম। ২০০ গ্রাম সোনার অলঙ্কার (যার মধ্যে আংটি-২১টি, লকেট-১৯টি, চেইন-১৪টি, চুড়ি-দুটি)। দুই কার্টন ডানহিল সিগারেট, একটি ব্যবহৃত স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৪ সেট, একটি ব্যবর্হত স্যামসাং গ্যালাক্সি জে১ সেট, পাওয়ার ব্যাংক, নগদ ৭৩০০ টাকা। তার কাছে উদ্ধারকৃত মালামালের মোট মূল্য ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ টাকা।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই জনই জানান তারা দীর্ঘদিন যাবত চোরাচালানে সম্পৃক্ত। অবৈধ পন্থায় সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে সোনার বার ও অলঙ্কার আনছেন।

জব্দকৃত গোল্ডবার, অলঙ্কার, মোবাইল কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের গুদামে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় মামলা করে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।