নীলফামারীতে তীব্র শীত, তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি

নীলফামারীতে রবিবার (৩১ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র শীতে সংকটে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। টানা শৈত্যপ্রবাহে ভোগান্তি বেড়েছে তাদের। কনকনে শীতে কাজে নামতে পারছেন না তারা। বাধ্য হয়ে পরিবারসহ সবাই হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, রবিবার সেখানে সর্বনিম্ন ছয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে, ডিমলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন। গত শুক্রবার নয় দশমিক সাত ডিগ্রি, শনিবার এগারো দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ অবস্থা আগামী চার-পাঁচ দিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

জেলায় শৈতপ্রবাহ শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। এরপর তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ও চলতি জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার পর আবারও কমতে থাকে। গত ২৯ জানুয়ারি নয় দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও ৩০ জানুয়ারি তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে এগারো দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে ডিমলা আবহাওয়া কার্যালয়।

জেলা শহরের নিউবাবু পাড়ার বাসিন্দা বালু মিয়া (৪২) বলেন, ‘ভ্যান চালানোর আয়ের ওপর আমার পরিবারের ভরণপোষণ নির্ভর করে। এবারের কনকনে শীতে ভ্যান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। একই কারণে লোকজন বাইরে কম আসায় আয়ও কমেছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’