ভোট নিয়ে আ. লীগ নেতার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল

আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের একটি বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তার বক্ত নিয়ে দলের সিনিয়র নেতারাও বিব্রত। তবে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গা উপজেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন এক নির্বাচনি সভার আয়োজন করে। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য রাখেন দেলোয়ার হোসেন। এসময় তিনি বলেন, ‘ভোট করার কায়দা আছে, অনেক কায়দা আছে। ভোট আগে থাকতে কইরে ফেলতে হবে। স্যান্টারে (কেন্দ্রে) যায়ে ভোট হবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোটের আগের রাত্রি বাড়িতে বাড়িতে ও গলির মধ্যে বুলে আসতি হবে, ভোটের দিন বাড়ির মধ্যি থেকে নড়বিনে। নড়লি তোর খবর আছে এবং তুই হচ্চে রাজাকার, তুই হচ্চে জামাত।’

আওয়ামী লীগ ওই নেতার বক্তব্যের ভিডিওর একটি ক্লিপ মঙ্গলবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ওই লোককে ব্যারিকেড দিয়ে ভোট আটকে দেব। আমরা নৌকাকে ভোট দিয়ে দেব। তাহলে কী হবে জানেন? বিএনপি-জামায়াতের যারা ভোট দিতে যাতি পারলো না, আমাদের যে ৫০০ ভোট, ৫০০ ভোটই থেকে গেল। ভোটে অনেক কৌশল আছে। কৌশলগতভাবে আগালে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।’

সভায় উপস্থিত সবার মতামত জানতে চাইলে, সবাই ‘জি’ বলে সাড়া দেন। এসময় দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কারা কারা একমত, একটু হাত উঁচু করে দেখান।’ উপস্থিত লোকজন হাত তুললে তিনি বলেন, ‘থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভিডিওর বক্তব্য রাখা ব্যক্তিটি আমি। তবে তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমার বক্তব্য সরিয়ে অন্য কণ্ঠ সংজোযন করা হয়েছে। দল ও আমাকে বেকায়দায় ফেলতে প্রতিপক্ষরা এমনটা করেছে।’  

এদিকে, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতির এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য নিয়ে দলের ভেতরে বাইরে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে বেশ কয়েকজন নেতা নিজেদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন দলের ভেতরে বাইরে অতি উৎসাহী লোকজনের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।