ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলে দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও সন্ত্রাসীদের ভয়ে আগেই থেকেই তিনি বাড়ি ছাড়া ছিলেন।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ানের  ল্যাংড়ামুন্সির পুল এলাকায় এই ই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন থেকে ইউপি চেয়ারম্যান  জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আতিকুর রহমানের পরিবারের বিরোধ চলছিল। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আতিকুরের বাবা জামাল হোসেন মৃধা। জামাল হোসেন ওই নির্বাচনে হেরে যান। সেই থেকেই শত্রুতা শুরু হয়।

ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্রবধূ ফারজানা ওরফে ইমা বলেন,  হামলাকারীদের কয়েকজনকে আমি চিনতে পেরেছি। তারা হলো, আতিকুর রহমান ওরফে মোহনের নেতৃত্বে মামুন, রিপন, ওলি, শান্ত, নাসির, বশার মৃধা, পঙ্কজ, তুহিন, শাহিন নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল এ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।

আতিকুর রহমান মোহন দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (একাংশ)  সভাপতি। 

তিনি আরও বলেন, তারা এক স্বজনের বাড়ি থেকে দাওয়া খেয়ে বিকালে বাড়িতে ফেরেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মোহনের নেতৃত্বে  একটি সন্ত্রাসী দল ঘরে পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাঙচুর করতে থাকে। তখন তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মোহনের অত্যাচারে তার অনেক কর্মী-সমর্থক এলাকায় থাকতে পারছে না। তিনিও আতঙ্কে আছেন। রবিবার সকালে মোহন তার সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠিসোটা ও দা নিয়ে তার বাসার সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে। তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্নভাবে  হুমকি দেয়। এ কারণে তিনি ওইদিন থেকে বাড়িতে যান না। এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়। এতে সন্ত্রাসীরা আমার ওপরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ওসি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া আজকে তারা আমার বাড়িতে  হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করার সাহস পেয়েছে।’

মোহন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি স্থানীয় এমপির সঙ্গে একটি দলীয় মিটিংয়ে ছিলাম। তারা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমার ও আমার লোকজনের ওপর চাপাতে চায়।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’