জয়পুরহাটে পুনর্নির্বাচনের দাবি বিএনপি প্রার্থীর

জয়পুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন না করলেও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ শামছুল হক। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নির্বাচন শুরু হওয়ার পর দুপুর ১টার দিকে তার নির্বাচনি কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন চলাকালে বহিরাগতদের নিয়ে এসে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়ে জোর করে নৌকায় ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কক্ষে নৌকার লোক দিয়ে ভোট দেখে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে ধানের শীষের প্রধান এজেন্ট ফজলুর রহমানকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। নির্বাচনে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এটি একটি প্রহসনের নির্বাচন। আমরা এ নির্বাচন মানি না।’

এ অবস্থায় নির্বাচন বর্জন করবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রহসনের এ নির্বাচন গ্রহণ বা বর্জন নয়, অবিলম্বে পুনর্নির্বাচনের দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তাদের লোকজনদের বের করে দেওয়া হয়েছে। নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে কোনও ভোটারকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে কোনও লাভ হয়নি।’

এ সময় বিএনপি নেত্রী জাহিদা কামাল অভিযোগ করেন, একটি কেন্দ্রে তিনি ধানের শীষের এজেন্ট ছিলেন। সেখানে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক তাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগ দলীয় পুরানাপৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম তাকে ধমক দিয়ে বলেছেন এখানে নৌকায় ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দেওয়া যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।