বরগুনার তালতলী উপজেলা শহর এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তালতলীতে এক আম ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহিদুল হকের নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা ওই বাজারে মানববন্ধনে অংশ নেয়। ঠিক তখনই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা নেতাকর্মী ও বিক্ষোভ মিছিলে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জনের মতো আহত হন। তাদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে নৌবাহিনী ও তালতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
উল্লেখ্য, রবিবার এক আম ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম মামুন। তারই প্রতিবাদে আজ মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হকের সমর্থক নেতাকর্মীরা। পরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছেন পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অটল ছিল, এতে উত্তেজনা বাড়ে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, দিলে আইনি ব্যবস্থা নেবো।’