তক্ষক নিয়ে প্রতারণাচক্রের দুই সদস্য আটক

পটুয়াখালীতে তক্ষক নিয়ে প্রতারণা চক্রের মো. হাসান গাজী (২৫) ও মো. জসিম হাওলাদার (৪২) নামে দুই জনকে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার খলিশাখালী আরশাদ আলী মোল্লার বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। রাত ১০টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে র‍্যাব।

আটক হাসান গাজী গলাচিপা উপজেলার পানখালী গ্রামের লাল মিয়া গাজীর ছেলে। জসিম দশমিনা উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের মৃত মকবুল হাওলাদারের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণী তক্ষক উদ্ধার করা হয়। এ সময় তক্ষক পাচারের অপরাধে হাসান ও জসিমকে আটক করা হয়। তারা সংঘবদ্ধ তক্ষক পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা অত্যন্ত সুকৌশলে অতি উচ্চ মূল্যে তক্ষক পাচার করে আসছে। আসামিদের উদ্ধার তক্ষকসহ পটুয়াখালীর দশমিনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার তক্ষকের ওজন ১৭৫ গ্রাম এবং দৈর্ঘ্য ১৪  ইঞ্চি।

র‌্যাবের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক মো. রবিউল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে র‌্যাব বাদী হয়ে দশমিনা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গুজব প্রচলিত আছে ক্যানসারের ওষুধ তৈরিতে তক্ষক ব্যবহার হয়; তক্ষক ঘরে রাখলে সহসাই ধনী হওয়া যায়; এর মাথার ম্যাগনেট দাম কোটি টাকা; প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা– এমন গুজবের ওপর ভর করে দেশজুড়ে সংঘবদ্ধ চক্র নির্বিচারে তক্ষক ধরছে। তারা গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তক্ষক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করছে। এর পর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের হাতে কথিত ‘মহামূল্যবান’ তক্ষক বা এর কঙ্কাল গছিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি ১০-১২ ইঞ্চি তক্ষকের দাম ধরা হচ্ছে ৫০ লাখ টাকা। এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকেই।