নিষেধাজ্ঞার পর পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

নিষেধাজ্ঞা জারির পর রাঙামাটির সব পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাজেকসহ জেলার পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন ও কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে এই নির্দেশনা জারি থাকবে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য।

বন্ধ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ দেখা গেলেও ঝুলন্ত সেতুতে কিছু পর্যটককে ঘুরতে দেখা গেছে। হ্রদে ঘুরে বেড়ানো বোটগুলো ঘাটে বাঁধা ছিল। টেক্সটাইলের দোকানগুলোতে বিক্রয়কর্মীদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে। আবাসিক হোটেলগুলো আস্তে আস্তে খালি হতে শুরু করেছে। যাদের অগ্রিম বুকিং ছিল তারাও বাতিল করছে বলে জানিয়েছে হোটেল ও মোটেল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা নতুন দম্পতি সুজন দাশ বলেন, ‘বিয়ের পর হানিমুনের জন্য গত সপ্তাহে বের হয়েছি। আমরা কক্সবাজার, বান্দরবান ঘুরে রাঙামাটি আসার পর শুনলাম সব বন্ধ। সাজেক যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও রাতে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। আর রাঙামাটির পাহাড় হ্রদের মিতালি দেখার মতো এক দৃশ্য, দেখে গেলাম। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে অবশ্যই আবার আসবো।’

যশোর থেকে আসা আরেক পর্যটক মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘সকালে রাঙামাটি পৌঁছে শুনি সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ, ঝুলন্ত সেতু দেখতে এসেও দেখতে পারছি না। কষ্ট নিয়ে ফিরতে হচ্ছে।’

রাঙামাটির আবাসিক হোটেল মতি মহলের ব্যবস্থাপক, চন্দন দাশ বর্মণ বলেন, ‘শুক্র ও শনিবার কিছু অগ্রিম বুকিং ছিল। জেলা প্রশাসন বন্ধ ঘোষণার পর বুকিং বাতিল করেন পর্যটকরা।’ 

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের আবাসিক ও বিনোদন কেন্দ্র আলাদা। আবাসিক হোটেল সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে আর সরকার পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করায় অগ্রিম সব বুকিং বাতিল হয়েছে।’