জমি নিয়ে বিরোধে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে বিএনপি নেতার গুলি

ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি নিয়ে বিরোধে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল করিম বাবুল মৃধা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজাপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আলহাজ লালমোন মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. মাহফুজুর রহমান থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।  রবিবার বিকাল ৩টার দিকে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন বলে তিনি নিজেই জানান। তবে পুলিশের দাবি, তাকে কানুদাসকাঠি থেকে আটক করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. মাহফুজ উপজেলা সদরের মৃত মমতাজ উদ্দীন আহমেদের ছেলে।

উপজেলার মেডিক্যাল মোড় সংলগ্ন পাথর বাড়িতে সীমানা নিয়ে বাবুল মৃধার সঙ্গে মাহফুজুর রহমানের শ্বশুর মরহুম মোহাম্মদ শাহ আলম জমাদারের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকাল ১১টায় মাহফুজুর রহমান শ্রমিক দিয়ে ওই সীমানায় প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বাবুল মৃধা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজে বাধা দিলে মাহফুজুর রহমান তার শ্বশুরের ভবনের মধ্যে থেকে জানালা দিয়ে বাবুল মৃধাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এতে বাবুল মৃধার বাঁ হাতের কব্জি ও বাঁ পাজর গুরুতর জখম হয়।

গুলিবিদ্ধ আব্দুল করিম বাবুল মৃধার ছোট ভাই বরকত মৃধা অভিযোগ করে জানান, শনিবার ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে জোর করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ শুরু করলে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু রবিবার সকালে পুলিশি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবার কাজ শুরু করলে বাবুল মৃধা ও তিনি বাধা দিতে গেলে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ঘরের সামনের কক্ষের জানালা দিয়ে বাবুলকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে এতে তার হাত ও পেটে একাধিক জখম হয়।

রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত মেডিক্যাল সহকারী কনক প্রভা জানান, বাবুলের হাতে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালে রেফার্ড করা হয়েছে।

রাজাপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে একনলা বন্দুক, এক রাউন্ড তাজাগুলি, একটি চাকু ও একটি দেশীয় অস্ত্র (গুপ্তি) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত মাহফুজকে পরে আটক করা হয়।