কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছেলেসহ কমপক্ষে আট জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার গেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আহতরা হলেন– আবদুল কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা (২৯), আরমান (৪৩), মিরাজ (৩৩) আরও পাঁচ জন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারীরা ত্রাণ বিতরণ শেষে বসুরহাট বাজারে আসে। তখন আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী শাহাদাত সিফাত বসুরহাট পৌরসভা ভবন থেকে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় চরিত্র হনন করে বক্তব্য দেন। তার এ ভিডিও ফেসবুকে দেখে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা বিকাল ৩টায় বসুরহাট বাজারে থানার সামনে জড়ো হয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। খবর পেয়ে কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা পৌরসভা থেকে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে থানার সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মির্জা অনুসারী রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল গুলি ছুড়লে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে আট জন আহত হন। একপর্যায়ে, কাদের মির্জার অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারী তার ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের থানা সংলগ্ন বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ রাহাতের বাসা থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি জানান, যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।