তাণ্ডবের ঘটনায় বিচার চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতার পদত্যাগ

হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) হেফাজতের তাণ্ডব ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠান আব্দুর রহিম কাসেমী।

লিখিত বক্তব্যে কাসেমী উল্লেখ করেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সব মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের এসব দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগ না দিতে বাধ্য করি।’

সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো লিখিত বক্তব্যতিনি আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম ও জাতীয় এবং জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচণায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনায় ৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলাগুলোতে এজাহারনামীয় ৪১৪ জন ও অজ্ঞাত ৩৫ হাজারেরও বেশি আসামি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৪৬ জনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে।