বালু দিয়ে বাঁধ সংস্কার! 

বর্ষা মৌসুমে নীলফামারীর ডিমলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা এলাকাকে বন্যামুক্ত রাখতে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি গ্রোয়িং বাঁধের সংস্কার কাজে চুক্তিবদ্ধ হয় রংপুরের ঠিকাদার হাসিবুল হাসান। তার কাছ থেকে সাব-কন্ট্রাকে নিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ডালিয়া পাউবোর ঠিকাদার আশিক ইমতিয়াজ মনি। স্থানীয় ঠিকাদার হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিজ খেয়াল খুশি মতো মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে বাঁধ সংস্কার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি চুইয়ে কিংবা বন্যার পানির তোড়ে বালুর বাঁধটি তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় চর ছোটখাতা গ্রামের বাঁধ ঘেঁষা স্থানীয় অনেকের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ১০ ফুট দূর থেকে তিস্তা নদী থেকে বালু তুলে তৈরি করা হচ্ছে টিহেড বাঁধটির সংস্কার কাজ। বাঁধটি মাটি দ্বারা সংস্কার করার নিয়ম থাকলেও পুরো বাঁধে বালু ছাড়া এক মুঠো মাটিও ফেলা হয়নি। বন্যার কবল থেকে এ এলাকাকে বাঁচাতে এবং তিস্তা নদীর মূলবাঁধ রক্ষা করতে সরকারের দেওয়া টাকায় দায়সারাভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ বালুর বাঁধটি।

বাঁধটি বর্ষা মৌসুমে তিস্তার পানির তোড়ে বিলীন হয়ে বন্যা কবলিত হবে কয়েশ একর ফসলি জমি আর সর্বস্ব হারাবে খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের হাজারো পরিবার। হুমকির মুখে পড়বে তিস্তা ব্যারেজ রক্ষায় নির্মিত মূল বাঁধটি।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, এটি অনেক পুরোনো একটি গ্রোয়িং বাঁধ। ১৯৮০ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধটি নির্মাণ করে পাউবো। মাটি সংকট হওয়ায় চর থেকে বালু এনে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে এটির পুরো দেখভালের দায়িত্ব পাউবোর। এখানে আমাদের কিছুই বলার নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া (পওর) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন,  ‘কোনও প্রকার অনিয়ম ছাড়াই যথাযথ নিয়ম মেনে বাঁধটির সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। আপনাকে কেউ না কেউ ভুল ইনফমেশন দিয়েছে। নয়তোবা কেউ সুবিধা নিতে পারিনি তাই এত কথা হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’