বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী ও সুনামগঞ্জ জেলায় বজ্রাঘাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুর ও বিকালে বজ্রপাতের শিকার হন তারা। এ বিষয়ে জানাচ্ছেন বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধিরা:

কিশোরগঞ্জ

ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের কালিপুর গাছগীরাবন হাওরে এক কৃষক এবং কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নে টেকনিক্যাল সেন্টার সংলগ্ন হাওরে এক কিশোর বজ্রাঘাতে মারা গেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার কালিপুর গাছগীরাবন হাওরে বোরো ধান কাটছিলেন কৃষক মকবুল হোসেন। বিকাল ৪টার কিছু পরে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই মকবুল হোসেনের মৃত্যু হয়। নিহত মো. মকবুল হোসেন (৪০) মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে কটিয়াদীতে বজ্রপাতে বিজয় মিয়া (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। নিহত বিজয় মিয়া চান্দপুর শেকেরপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টির সময় বিজয় মিয়া তাদের হাঁসের খামারে কাজ করছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে আহত হয়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে বজ্রাঘাতে দুপুরে মোবারক হোসেন (২২) নামে এক জেলে নিহত এবং আরও দুই জেলে আহত হন। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

নিহত মোবারক উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাইলের ছেলে। আহতরা হলেন–মো. ইলিয়াস (২৬) ও মো. ইরাক (১৮)।

নিঝুম দ্বীপ ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খবির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনের মতো জেলেরা স্থানীয়ভাবে তৈরি ঠেলাজাল দিয়ে মাছ শিকার করতে যান। তারা নিঝুম দ্বীপের পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীর তীরে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতের শিকার হয়। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। আহত দুজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বজ্রাঘাতে আব্দুল বারী (৫০) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজির আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের নতুননগর গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে আব্দুল বারী বাড়ির পাশে হাওরে গরুর পাল নিয়ে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে আকস্মিক বজ্রাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে গ্রামবাসী তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। পরে গ্রামের গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

চলতি বছর আজ পর্যন্ত বজ্রাঘাতে জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।