শিমুলিয়ায় ফেরি বন্ধ, ১৮ ট্রলার জব্দ

ফেরি বন্ধ থাকার পরেও শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের জন্য ভিড় করে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। এদিকে বিধিনিষেধ অমান্য করে যাত্রী পারাপারের অভিযোগে আবারও ১৮টি ট্রলার জব্দ করেছে নৌপুলিশ। রবিবার (৯ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট, ঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকা ও পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রলারগুলো জব্দ করা হয়। শনিবারও একই অভিযোগে ছয়টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছিল। মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর এ খবর নিশ্চিত করেন।  

বিধিনিষেধ অমান্য করে যাত্রী পার করায় ট্রলার জব্দ করা হয়েছে মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপারে এখন সম্পূর্ণ নিষেধ, কিন্তু যাত্রীরা অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ট্রলারে যাত্রী ওঠানোর কারণে শিমুলিয়া ঘাট, কান্দিপাড়া ও মাওয়া মৎস্য আড়ত ও পদ্মা নদীর লৌহজং চ্যানেল থেকে ১৮টি ট্রলার জব্দ করা হয়। এ সময় ট্রলারের ১৮ জন চালককে আটক করা হয়। যাত্রীদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা ট্রলার নৌপুলিশের হেফাজতে আছে।  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবু ওই এলাকায় যাত্রীরা ভিড় করেছেন পদ্মা পাড়ি দিতে। পরিস্থিতি সামলাতে রবিবার ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও ঘাটে আসছেন দক্ষিণবঙ্গ অভিমুখী যাত্রীরা। তবে গত দুই দিনের তুলনায় চাপ কম।

শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছেবাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশপথের দুই জায়গায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঘাটে কোনও ছোট যান প্রবেশ করতে পারছে না। তবে ঘাটে প্রায় সাড়ে তিনশ’ পণ্যবাহী ট্রাক আছে। গত দুই দিনের তুলনায় রবিবার যাত্রীদের তেমন কোনও ভিড় নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য মাত্র দুটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে গেছে। তবে গতরাতে সবগুলো ফেরি চলেছে। সেজন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২০৫টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট গাড়ি (অ্যাম্বুলেন্স) পার করা গেছে।