হিলি ও বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে সোমবার (১০ মে) দিনাজপুরের হিলি ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বন্দরের ভেতরের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আস্যোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রবিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর বা ২৭ রমজানের রাত পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সরকারি ছুটি থাকায় হিলি কাস্টমসের সব বিভাগ বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে দু'দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্দরের ভেতরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ছুটি শেষে মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের কাজ স্বাভাবিক হবে।

এদিকে পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও বন্ধ রয়েছে। তবে এ বন্দর দিয়ে দুই দেশের হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতায়াত করছেন।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি গেটসকালে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, শবে কদরের সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে যথারীতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রফতানি শুরু হবে।

বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, শবে কদর উপলক্ষে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৬ এপ্রিল থেকে এ বন্দরে নতুন করে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ছিল। ভারতে করোনা সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য নতুন পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে যেসব যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশে আটকা পড়েছেন শুধু তারাই দুই দেশের হাইকমিশন থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।