বরিশালে বাঁধ-রাস্তার ক্ষতি, ফসলের ক্ষেত প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানির চাপে বরিশালের ১০ উপজেলার মধ্যে চারটিতে বাঁধ, রাস্তা ও ব্রিজ-কালভার্ট এবং মাছের ঘের, ইরি ধান ও পানের বরজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বহেরচরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাঁচটি ঘর জোয়ারের পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া পানিতে জয়নগর, দড়িচর-খাজুরিয়া, বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাঁধ, রাস্তা ও ব্রিজ-কালভার্টের ক্ষতি হয়। ভাঙনের মুখে পড়েছে দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওযার্ডের সিকদার হাটের কমিউনিটি ক্লিনিক। মাছের ঘের, ইরি ধান ও পানের বরজ জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করলেও ভাটার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করেছে।

মুলাদী উপজেলায় কাজীরচর এলাকায় রাস্তা ভেঙেছে। হিজলা উপজেলায় ৩০০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের এইচবিবি রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া  ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য  ইউনিয়নে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলেও তা নামতে শুরু করেছে।

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, শায়েস্তাবাদ, চন্দ্রমোহন ও চরমোনাই ইউনিয়নে জোয়ারের প্রভাবে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।

বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, আগৈলঝাড়া, বানারীপাড়া, হিজলা ও গৌরনদী উপজেলায় পানি উঠলেও তা নামতে শুরু করেছে। এসব এলাকায় তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে।  

জেলার ১০টি উপজেলায় ৩১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৭৫৫টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলোয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে।