নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ৫৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট উপজেলায় টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ১৬ ইউনিয়নের ৫৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নেতাই পাড়ের খেটে খাওয়া মানুষজন।

ধোবাউড়ার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার গামারীতলা ইউনিয়নের কলসিন্দুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাওয়া নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ চার-পাঁচ জায়গায় ভেঙে যায়। এতে ওই উপজেলার গামারিতলা, দক্ষিণ মাইজপাড়া, ঘোষগাঁও, বাঘবেড়, সদরসহ পাঁচটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিকুজ্জামান জানান, পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মানাধীন নেতাই নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়ে পাঁচটি ইউনিয়নে বন্যা হয়েছে। বন্যার পানি মানুষের ঘরবাড়ি এবং মাছের খামারে ডুকে পড়েছে। তিনি আরও জানান, সকাল থেকেই বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষকে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ কৃষি ফসল এবং মাছের খামারের ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।  

mymensingh flood-5অন্যদিকে, টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয়ের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত হালুয়াঘাট উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও কৃষিজমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩৫ গ্রামের মানুষ। বন্যাদুর্গত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে গামারিতলা, ভুবনকোড়া, নড়াইল, জুরাইল, কুইচেপাড়া, জুগলি, সাকুয়াই, স্বদেশী, বিলডোরা, ধারা ও হালুয়াঘাট সদর।

হালুয়াঘাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষার শুরুতেই পাহাড়ি ঢলে এবং কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ১১টি ইউনিয়নে বন্যা হয়েছে। পানি ঘরবাড়ি এবং মাছের খামারে ডুকে পড়েছে। বন্যায় পানিবন্দি মানুষকে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।