ট্রাকসহ ডাকাতি হওয়া ২১ গরু উদ্ধার, গ্রেফতার ২

গাইবান্ধা থেকে বগুড়ার গাবতলীতে ডাকাতি করে আনা প্রায় ১৬ লাখ টাকা মূল্যের ২১টি গরুসহ দুই জনকে গ্রেফতার হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে গাবতলী উপজেলার উনচুরখী এলাকায় ট্রাক থেকে নামানোর সময় টহল পুলিশ গরুগুলো জব্দ ও সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। চট্টগ্রামের ব্যাপারী আলমগীর হোসেন সোমবার দুপুরে ডাকাতদের বিরুদ্ধে গাবতলী থানায় মামলা করেছেন।

বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে গাবতলী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ডাকাতরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কালীতলা এলাকায় ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়ার পর ব্যাপারীকে হাত-পা বেঁধে মহাসড়কে ফেলে দেয়। এরপর প্রায় ১৬ লাখ টাকা মূল্যের ২১টি কোরবানির গরু ডাকাতি করে এখানে এনেছিল।

গ্রেফতার ডাকাতরা হলো– বগুড়ার গাবতলী উপজেলার উনচুরখী গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে আবদুল বারী যুবরাজ (৪০) এবং একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে ট্রাকচালক শাকিল আহমেদ (২১)।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের গরু ব্যবসায়ী (ব্যাপারী) আলমগীর হোসেন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হাট থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকায় ২১টি গরু কেনেন। এসব গরু চট্টগ্রামে নিয়ে কোরবানির হাটে বিক্রির কথা ছিল। ১১ জুলাই রাতে নীলফামারী থেকে ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৭২০৭) গরু নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হন তিনি। পথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কালিতলা এলাকায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে পৌঁছলে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত ট্রাক দিয়ে মহাসড়কে ব্যারিকেড দেয়। তারা ট্রাক থামিয়ে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে আলমগীরকে মহাসড়কে ফেলে দেয়। এরপর গরু বোঝাই ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। রাত ২টার দিকে গাবতলীর উনচুরখী এলাকায় ট্রাক থেকে ডাকাতি করা গরুগুলো নামানো হচ্ছিল। টহল পুলিশের সন্দেহ হলে তারা সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। তখন ট্রাকে থাকা যুবরাজ ও শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়।