জমিসংক্রান্ত বিরোধে নিহত ১, গ্রেফতার ৪

পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের কিসমত হরিপুর গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে রবিন চন্দ্র অধিকারী (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। রবিন ওই গ্রামের বিদ্যা মোহন অধিকারীর ছেলে। এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুলাই) বিদ্যা মোহন অধিকারী বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে বোদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর পরই বোদা থানা পুলিশ চার আসামিকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কিসমত হরিপুর গ্রামে বিদ্যা মোহন অধিকারী পৈতৃক ও কেনা এক একর ৬৮ শতক জমি ভোগ-দখল করে আসছেন। এদিকে একই এলাকার জগেশ, ইন্দ্রমোহন, নিতাই রায়, ভবেষ রায়, নিবারণ রায়, দিপেন রায় ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত মঙ্গলবার বিদ্যা মোহনের প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধীপূর্ণ ওই জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করতে যায়। খবর পেয়ে বিদ্যা মোহন অধিকারী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় আসামিরা তাদের হাতে থাকা লাঠিসোঁটা, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, কোদাল দিয়ে বিদ্যামোহন, তার ভাই মহেন্দ্রনাথ, বিদ্যা মোহনের বড় ছেলে রবিন চন্দ্র, মেজো ছেলে দিলীপ চন্দ্র, ছোট ছেলে গৌতম, ভাতিজা তিলক, বৌমা সুধাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি জখম ও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। আহতদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা ট্রাক্টর নিয়ে পালিয়ে যান। আহতদের প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত রবিন চন্দ্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তিনি মারা যান।

বিদ্যা মোহন এ ঘটনায় জগেশ, ইন্দ্রমোহন, নিতাই রায়, ভবেষ রায়, নিবারণ রায়, দিপেন রায়, সন্ধ্যা রানী, সুন্তী রানী, ববিতা রানী, সন্ধ্যা, আদুরী রানী, মধু বর্মণ ও সুমিত্রা রানীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বোদা থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে জগেশ, ইন্দ্রমোহন, নিতাই রায় ও তার স্ত্রী সুন্তী রানীকে গ্রেফতার করে।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলার পর পরই আমরা চার আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’