আমচাষিদের জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল’ ট্রেন চালু করা হয়েছিল। আমের মৌসুম শেষ হয়ে আসায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ট্রেনে আম পরিবহন করে রেলওয়ের আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ লাখ ৩০ হাজার ৩২৮ টাকা।
রাজশাহী রেলওয়ের তথ্যমতে, কুরিয়ারে এক কেজি আম পরিবহনে চাষিদের খরচ বেশি হয়। আমের পরিবহনসংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সরকার ট্রেনে আম বহনের সিদ্ধান্ত নেয়। ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে গত ২৭ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ কেজি আম বহন করা হয়েছে। যেখান থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আয় করেছে ২৬ লাখ ৩০ হাজার ৯২৮ টাকা। কেজি প্রতি গড়ে ১৭ পয়সা আয় হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কম খরচে এবং সময়মতো রেলে আম পরিবহনের সুযোগ পেয়ে বেশ লাভবান হয়েছেন তারা। সড়ক পথের চেয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ জেলার প্রতি আন্তরিকতা রয়েছে বলেই ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে চালু করেছেন।
নাইম ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ট্রেনে ঢাকায় এক কেজি আম পাঠাতে এক টাকা ৩০ পায়সা খরচ হয়েছে। আর কুরিয়ার সার্ভিসে ১২ টাকা লাগে। কুরিয়ারের তুলনায় ট্রেনে অনেক খরচ কম। এছাড়া আমেও ক্ষতি হয় না।
করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য সহজে ও কম খরচে বহন করার জন্য সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালু করে। স্বল্প খরচে পরিবহনের এমন সুযোগ পাওয়ায় খুশি আম ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে কম খরচে মালবাহী ট্রেনে আম পাঠানো ব্যক্তিরাও খুশি।