ফুটবল মাঠে গরু চরানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিল্লাহ সরকার সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে রতনপুর খেলার মাঠে পার্শ্ববর্তী ভলাকুট ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক ফুটবল খেলছিলেন। এ সময় রতনপুর গ্রামের হুমায়ুন সেখানে গরু চরাতে গেলে দড়ি ছিঁড়ে গরুটি খেলার মাঠে ঢুকে যায়। এ কারণে খেলায় বাধাগ্রস্ত হয়। পরে যুবকরা গরুটিকে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে এ নিয়ে রতনপুর গ্রামের ছাড়ন গোষ্ঠীর হুমায়নের সঙ্গে পাশের গ্রাম ভলাকুট ইউনিয়নের হুনারু গোষ্ঠীর ছুট্টু মিয়া ও মঙ্গল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে হুমায়নকে একা পেয়ে হুনারু গোষ্ঠীর লোকজন মারধর করেন। পরে এ ঘটনার জের ধরে রবিবার দুপুরে হুনারু গোষ্ঠীর ও ছাড়ন গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন– কামাল (৪৫) হুমায়ন মিয়া (৩২), ফিরোজ মিয়া (৬৫), মোবারক (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩৭), মো. এবাদত মিয়া (৩৩), আলামিন (২৭), মো. সালাউদ্দিন (৩৭), সুজন মিয়া (৩২) মোশারফ (৪০), আব্দুর রহমান (৪৫) ও জিন্নত আলী (৭০)। বাকিদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফায়েজুর রহমান ফয়েজ বলেন, ‘আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।’

নাসিরনগর থানার ওসি জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর চাতলপাড় এবং ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেনি।