খুলনায় নেওয়া হলো ফরিদপুরের জলাধার থেকে উদ্ধার কুমিরটিকে

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের জলাধার থেকে উদ্ধার হওয়া কুমিরটিকে খুলনার বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুমিরটিকে নিতে খুলনা থেকে আসেন বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিরটিকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন তারা।

মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, উদ্ধার করা কুমিরটিকে খুলনায় নিয়ে রাতে বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হবে। মঙ্গলবার সকালে কুমিরটির বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। এরপর কুমিরটিকে কোথায় রাখা হবে সেই সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নেবেন। এটিকে সাফারি পার্কে রাখা হতে পারে।

সোমবার দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের জলাধারের কাছে কুমিরটিকে দেখে এলাকাবাসী জাল দিয়ে আটক করেন।

কুমিরটিকে এলাকাবাসী জাল দিয়ে আটক করেনজলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আরশাদ শেখ বলেন, ‘জলাধারের এক কোনার দিকে একটি হাঁস খেতে আসলে গ্রামের কয়েকজন দেখে সবাইকে খবর দেয়। পরে সবাই মিলে জাল দিয়ে কুমিরটিকে আটক করা হয়। গত ১৬ দিন আমরা এলাকাবাসী খুব আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কুমিরটি আটক হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি।’

আরেক বাসিন্দা লাইলি বেগম বলেন, ‘ভয়ে আমরা জলাধারে নামতাম না। খুব চিন্তার মধ্যে ছিলাম। কোন সময় কী হয়, আতঙ্কে থাকতাম। রাতে ঘুম হতো না।’ 

জানা গেছে, ফালুর খাল হিসেবে পরিচিত ওই জলাধারে গত ২৪ জুলাই কুমিরটিকে দেখতে পান এলাকাবাসী। এরপর গত ২৮ ও ৩১ আগস্ট কুমিরটিকে ধরতে দুই দফা অভিযান চালান প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা। তবে দুটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও কুমিরটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, ‘কুমিরটি ধরার জন্য এর আগে দুটি অভিযান ব্যর্থ হয়। ফলে এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে কুমিরটিকে এলাকাবাসী সোমবার দুপুরে আটক করেন। কুমিরটিকে প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’