ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ নৌযানকে ৬ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইউব্লিউটিএ এবং নৌ-পরিবহন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। বুধবার সকাল থেকে এ অভিযানে ২২টি অবৈধ নৌযানের মালিক ও চালককে আটক করে ছয় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌ-পরিবহন অধিদফতরের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসান লিটন।

তিতাস নদীতে নবীনগর উপজেলা সদরের ঘাট, বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার ঘাটে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লাইসেন্স, সনদ ও জীবনরক্ষা সামগ্রী না থাকার দায়ে এ সময় জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে বিআইউব্লিউটিএ আশুগঞ্জ-ভৈরব নদীবন্দরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শহীদ উল্লাহ জানান, নৌ-নিরাপত্তা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধ করার জন্য সঠিক পথে সঠিক নৌযান চলাচলের জন্য এই অভিযান। আজ সকাল থেকে ২২টি নৌযানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বদরুল হাসান লিটন বলেন, ‘জরিমানা করা ২২টি নৌযানের মধ্যে ড্রেজার, বালুবাহী বাল্কহেন্ড ও যাত্রীবাহী নৌযান রয়েছে। আমরা যে বিষয়টি দেখেছি তাদের কারোই সার্ভে এবং রেজিস্ট্রেশন নেই। অভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল আইন ১৯৭৬-এর ৩৩ ধারায় বলা আছে, সার্ভে এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন নৌ-চলাচল নিষিদ্ধ। সেই সঙ্গে ৫৬ ধারায় বলা আছে জীবনরক্ষা সামগ্রী যেমন– লাইফ বয়া, লাইফ জ্যাকেট, অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র থাকতে হবে। সেগুলোও আমরা পাইনি। পাশাপাশি মাস্টার, ড্রাইভার, সুকানি যারা আছেন তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে সনদ থাকার কথা সেটিও ছিল না। যা নৌ-নিরাপত্তা আইনের ৬৬ ধারায় পড়েছে। এগুলো না থাকার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।

অভিযানকালে নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠনের সভাপতি মো. শামিম আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।