বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘেরের পাড়ের লবণাক্ত জমিতে প্রথমবারের মতো তরমুজের আবাদ হয়েছে। ইউটিউবে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একই জমিতে ব্যতিক্রমী হলুদ, কালো ও সাদা রঙের তরমুজ আবাদ করেছেন দেবরাজ গ্রামের চাষি মো. জাকির শেখ। এই তরমুজ আবাদ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। কৃষি বিভাগ বলছে, জাকির শেখের এই ক্ষেত দেখে আরও অনেক কৃষক এই জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
সরেজমিন জাকির শেখের কৃষিক্ষেতে দেখা গেছে, একই মাচায় দুলছে হলুদ, কালো ও সাদা রঙের তরমুজ। হলুদ তরমুজের আবাদ এই অঞ্চলে প্রথম। এগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এটি অন্য জাতের তরমুজের চেয়ে মিষ্টি ও সুস্বাদু। স্থানীয়ভাবে হলুদ তরমুজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মধুমালা’।
স্থানীয় কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি জাকির শেখের কৃষিক্ষেতে এসে এই তরমুজের আবাদ দেখেছি। এ বছর আমিও একইভাবে তরমুজ চাষ করবো।’
কৃষক কামরুল মুন্সি জানান, স্থানীয়দের কাছে শুনে তিনি জাকির শেখের খামার দেখেছেন। অনেক পছন্দ হয়েছে এই তরমুজ চাষ। আগামী বছর তিনি তিন একর জমিতে এই জাতের তরমুজের আবাদ করবেন।
পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক মজুমদার জানান, নতুন এই জাতের তরমুজ আবাদে ভালো লাভ হবে। তাই ইউনিয়নব্যাপী চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হবে এই জাতের তরমুজ আবাদ করার জন্য।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই জাতের তরমুজ চাষ লাভজনক। বাগেরহাটের চাষিদের মাঝে এটির চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। আগ্রহী কৃষকদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে।’ গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজ কৃষকদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।