সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সারাদেশে সমাবেশ-শোভাযাত্রা

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সারাদেশে সমাবেশ, শান্তি শোভাযাত্রা ও নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ করে সম্প্রীতি অটুট রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিভিন্ন সামাজিক-সাস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন:

দিনাজপুর: সম্প্রীতি রক্ষা দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে নাগরিক সমাবেশ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। অপরদিকে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোভাযাত্রা বের করেন শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও জেলা শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

কুড়িগ্রাম: ‌সাম্প্রদায়িকতা‌ প্রতি‌রো‌ধে মানববন্ধন ক‌রে‌ছে সম্মিলিত সাংস্কৃ‌তিক জোট কু‌ড়িগ্রাম। ‌কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হি‌সে‌বে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অনু‌ষ্ঠিত মানববন্ধ‌নে দিনটি‌কে ‘সম্প্রীতি রক্ষা দিবস’ হি‌সে‌বে ঘোষণা ক‌রে জোট।

কর্মসূচিতে মহিলা পরিষদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, প্রচ্ছদ কুড়িগ্রাম, সাম্প্রতিক কুড়িগ্রাম, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, ঐতিহ্য কুড়িগ্রাম, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়।

কুড়িগ্রামে মানববন্ধননোয়াখালী: শহরের মাইজদীতে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

মোংলা (বাগেরহাট): ‘সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ স্লোগানে মোংলায় সাম্প্রায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে অনুষ্ঠিত র‍্যালি ও সম্প্রীতি বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন– ইমাম, পুরোহিত, ধর্ম যাজক, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা।

নওগাঁ: নওগাঁয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সম্প্রীতি রক্ষা দিবস পালন করেছে। এই কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁ জেলা কমিটি। মঙ্গলবার সকালে শহরের মুক্তির মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এ উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির যৌথ উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে সমাবেশ মানববন্ধন ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে রূপগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে আয়োজিত সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, একটি চক্র বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে চায়। হত্যা, ও ষড়যন্ত্র করে দেশকে ধ্বংস করতে চায়। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।

ঝালকাঠি: সম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে শান্তি সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশের আগে শহরে একটি শান্তি শোভাযাত্রা করেন দলের নেতাকর্মীরা। শোভাযাত্রাটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

নাটোর: যুগ যুগ ধরে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে, এমন অঙ্গীকারে নাটোরে অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন মঙ্গলবার দুপুরে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি কানাইখালী এলাকায় নাটোর প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়। এ সময় সেখানেই সম্প্রীতির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া: আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বক্তারা বলেছেন, অন্যের ধর্মের ওপর আঘাত করা ইসলামের শিক্ষা নয়। ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সন্ত্রাসের অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

মানিকগঞ্জ: সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শহীদ রফিক সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের কালীবাড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হিলি (দিনাজপুর) হাকিমপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিকাল ৫টায় হিলি বাজারের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি হিলি বাজারসহ স্থলবন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে খাদ্যগুদাম মোড়ে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।