ভেলা বিলে অবমুক্ত করা হলো ৮৫ পাখি

রাজশাহীতে জলময়ূর, বেগুনি কালেম, পাতি সরালি ও ডাহুক এই চার প্রজাতির ৮৫টি পাখি অবমুক্ত করলো বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে রাজশাহী পবা উপজেলার গহমবোনা এবং গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী ভেলা বিলে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়।

এ সময় বেগুনি কালেম ৮০টি, সরালি তিনটি, ডাহুক একটি ও একটি জলময়ূর অবমুক্ত করা হয়। পাখিগুলো গত শনিবার রাতে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিকারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

রাজশাহী বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর পাখিগুলো উদ্ধার করে পাখি পুর্নবাসন কেন্দ্রে রেখে পরিচর্যা করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার উপযোগী  পাখিগুলোকে অবমুক্ত করা হলো। এর আগে সকালে নাটোরের সিংড়া চলনবিলে ৫০টি পাখি অবমুক্ত করেছি। বাকিগুলো অনেক ছোট। তাদের আরও পরিচর্যা করা লাগবে।’

তিনি আরও জানান, এই শিকারিরা প্রান্তিক এলাকা থেকে পাখিগুলো ধরে নিজেদের কব্জায় রেখেছিল। তবে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবীরা পাখি ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করছেন।  

উল্লেখ্য, দূর্গাপুর নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের গাজিয়ার রহমান ও জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে গত ২৩ অক্টোবর দুটি জলময়ূর, ১৯২টি বেগুনি কালেম, ছয়টি পাতি সরালি ও একটি ধলা বুক ডাহুক উদ্ধার করা হয়। এ সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা শিকারি গাজিয়ার রহমানকে ২০ হাজার এবং জাহিদুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।