পায়ে হেঁটে, বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ

তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষরা। পায়ে হেঁটে অথবা বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশায় কর্মস্থলে গেছেন তারা।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। কোনও গাড়ি চলাচল করতে গেলেই তারা বাধা দিচ্ছেন। শ্রমিকরা ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি আটকে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। নগরীর লালখান বাজার, কাজির দেউড়ী, নিউমার্কেট, নতুন ব্রিজ এলাকায় দেখা গেছে, মানুষ গাড়ি না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ানোর ফলে বর্তমান ভাড়ায় তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। তাই তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

সকালে নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে জিএনজিযোগে ইপিজেড এলাকায় যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘লালখান বাজার থেকে জিএনজি নিয়ে যাওয়ার পথে টাইগারপাস এলাকায় গেলে পরিবহন শ্রমিকরা গাড়িটি আটকে দেন। অনেক অনুনয় করে বলার পর ১৫-২০ মিনিট পর গাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন।’

শনিবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শহর থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এ দিন কেউ গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। অন্যদিকে কেউ গ্রাম থেকে শহরে আসতেও পারেননি। নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে বিআরটিসির কয়েকটি বাস খাগড়াছড়ি, রাঙামাটির দিকে ছেড়ে গেলেও হাটহাজারী এলাকায় সেগুলোকে বাধা দেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তারা বাসের সামনের কাচে মবিল লাগিয়ে দেন।

নগরীর চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, ‘শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। বাসা থেকে বের হয়ে কাউন্টারে গিয়ে দেখি বাস চলছে না। আজ শনিবারও একই অবস্থা। আজও অলংকার মোড়ে গিয়ে ফিরে দূরপাল্লার কোনও বাস চলাচল না করায় ফিরে এসেছি।’

অন্যদিকে সড়কে বাস চলাচল না করায় সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশাচালকরা বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন। নগরীর হালিশহর থানাধীন ঈদগাঁ এলাকা থেকে ইপিজেড যাতায়াত করেন পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘অন্যসময় ১৫০ টাকা দিয়ে ইপিজেড আসি। কিন্তু আজ আড়াইশ টাকা দিয়ে এসেছি। নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কেউ ওই ভাড়ায় আসতে রাজি হয়নি।’