বোন-ভাগনিকে না পেয়ে লঞ্চ মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় স্বজন হারানো পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় লঞ্চ মালিক হাম জালাল শেখসহ আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে মামলাটি করেছেন ঢাকার ডেমরা এলাকার মো. মনির হোসেন। তিনি এলাকার একজন ইট-বালু ব্যবসায়ী। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মনির হোসেনের বোন, ভাগনিসহ চার জন নিখোঁজ রয়েছে।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, সোমবার উদ্ধার হওয়া লাশটি শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ওই ব্যক্তি অভিযান-১০ লঞ্চের ক্যান্টিনের বাবুর্চি ছিলেন। তার নাম শাকিল মোল্লা। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা। তার মামা লুৎফর রহমান লাশ শনাক্ত করেন। অপরদিকে, স্বজন নিখোঁজ থাকায় মনির হোসেন বাদী হয়ে নৌযান আইনে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

এদিকে, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের পৌর মিনি পার্কে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সুগন্ধা পাড়সহ ঝালকাঠিতে অবস্থান নিয়ে নিখোঁজদের স্বজনরা এখন লাশ খুঁজে ফিরছেন।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন থেকে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন অনেক যাত্রী। এ ঘটনায় আরেকটি মামলায় অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।