ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতি তৈমুরের, আইভী বললেন ‘মিথ্যা’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে তৃতীয় দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছেন তারা। কেউ আশ্বাস দিচ্ছেন, ‘সবুজ শ্যামল জনপথ, নগর গড়ি নিরাপদ’। আবার কেউ বলেছেন, ‘গ্রিন ও ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে নারায়ণগঞ্জকে।’

ভোটারদের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধেও বলছেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী। বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির কর, ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানো হবে।’ এর বিপরীতে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘এটা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর স্ট্যান্ডবাজি ও মিথ্যা। ট্রেডলাইসেন্স ফি ও হোল্ডিং ট্যাক্স স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সেখানে মেয়রের কোনও সুযোগ নেই।’

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। এ সময় তৈমুর নারায়ণগঞ্জকে গ্রিন ও ক্লিন হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে  ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নিতাইগঞ্জ, শীতলক্ষ্যা, তামাকপট্রি, বাপ্পি চত্বরসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণায় নেমে মনে হচ্ছে, মানুষ তাদের চাহিদার প্রার্থী পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক সমস্যা। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন নেই। উদ্যোগ এবং ইচ্ছা পোষণই যথেষ্ট। নির্বাচিত হতে পারলে নারায়ণগঞ্জকে গ্রিন এবং ক্লিন সিটিতে রূপান্তর করা হবে। সিটি করপোরেশনের যেখানেই  খালি জায়গায় পাওয়া যাবে, সেখানে একটি হলেও গাছের চারা রোপণ করা হবে। যারা ছাদ বাগান করে খাদ্যের চাহিদা মেটাবে এবং বায়ুদূষণ রোধে কাজ করবে সেসব ভবন মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হবে। ছাদ বাগান করার জন্য অন্যদেরও উৎসাহিত করা হবে।’

এদিকে, আইভী সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি, মধ্যজাল কুড়ি, উত্তর জালকুড়িসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ সময় তিনি বিগত বছরে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নৌকায় ভোট চান।

তিনি বলেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকার যেসব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তা মিথ্যা। কারণ একটি করপোরেশন জনগণের ট্যাক্সেই চলে। আমি নারায়ণগঞ্জের রাস্তাঘাটের যে উন্নয়ন করেছি, তা জনগণের ট্যাক্সের টাকাই করেছি। ওয়াসার তিন শতাংশ কর তিনি কীভাবে মওকুফ করবেন? প্রতি মাসে ওয়াসার শুধু বিদ্যুৎ বিলই আসে ২০ লাখ টাকা। সে বিল তিনি কীভাবে শোধ করবেন? এ ছাড়া ওয়াসার পানির লাইন সরবরাহ ও মেইনটেইনেন্স করতে যে টাকা ব্যয় হয় তা করবেন কোথা থেকে? ’