দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে বিএনপির কিছু ব্যবসায়ী জড়িত: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিএনপির বড় কিছু ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে আরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।’ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে বুধবার (০৯ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এরপর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের বিডি হলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় অংশ নেন তিনি। সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন ভয় পায়। জ্বালাও-পোড়াও এবং সন্ত্রাসের রাজনীতির কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এই কারণে নির্বাচনে আগ্রহ নেই বিএনপির। তারা দলকে নির্বাচনমুখী করতে চায় না। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সারাদিন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আবোল-তাবোল কথা বলেন।রিজভী সাহেব নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকেন। সেখানে খান ও সেখানেই ঘুমান। সে কারণে দেশের অবস্থা জানেন না। দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকতে থাকতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে রিজভী সাহেবের।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে গণমাধ্যমে যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এজন্য বাংলাদেশেও কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। যাতে সাধারণ মানুষ কম দামে পণ্য কিনতে পারেন সেজন্য টিসিবির গাড়ি বাড়ানো হয়েছে। কোটি মানুষকে কম দামে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি দবিরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় প্রমুখ।

বর্ধিত সভায় ঠাকুরগাঁও জেলার ছয় সাংগঠনিক থানার নেতৃবৃন্দ এবং সদর উপজেলা আওয়ামামী লীগের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।