২ ডোজ নেওয়া থাকলে ভারত যেতে লাগবে না করোনা রিপোর্ট

আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াতে করোনা রিপোর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ১৪ মার্চ থেকে আর ১৬ মার্চ প্রত্যাহার হচ্ছে ভারতের ত্রিপুরায়। এর ফলে বুধবার থেকে এই চেকপোস্ট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের আরটি-পিসিআর রিপোর্ট লাগবে না। তবে তাদের কোভিড-১৯-এর ডাবল ডোজ টিকার সনদ থাকতে হবে। যাদের ডাবল ডোজ টিকার সনদ নেই তাদের জন্য আরটি-পিসিআর রিপোর্ট প্রযোজ্য হবে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
আব্দুল হামিদ জানান, এর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর এই বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে। যা গত ১৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। ত্রিপুরার পরিবার কল্যাণ অধিদফতর এবং ত্রিপুরা সরকারের নির্দেশনায় ১৬ মার্চ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে। 
আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিনশ’ যাত্রী চলাচল করছেন। গত দুই দিন ভারত থেকে আগত যাত্রীদের শুধু কোভিড-১৯-এর ডাবল ডোজ টিকার সনদ দেখা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াতে ডাবল ডোজ টিকা সনদ থাকলেই চলবে। তবে কোভিড-১৯ টিকার এক ডোজ নেওয়া থাকলে আরটি-পিসিআর সার্টিফিকেট লাগবে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালকের স্বাক্ষর করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্থলবন্দর দিয়ে আগত এবং বহিরাগত সব যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। তবে বহির্গামী যাত্রীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যেকোনও দেশে যেতে সে দেশের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী আরটি-পিসিআর টেস্ট প্রযোজ্য হবে। আর যাদের কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ সার্টিফিকেট নেই তাদের বাংলাদেশে আসতে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। নির্দেশনায় বারো বছরের কম বয়সী যাত্রীদের টিকা কিংবা আরটি-পিসিআর কোনোটাই বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
তবে খুব শিগগিরই দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভ্রমণ ভিসা চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ।